পবিত্র আল-কুরান ও হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে, ইসলামের যে পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে তার মধ্যে প্রথম হল কালেমা। এই কালেমা হল মহান আল্লাহ যে এক এবং অদ্বিতীয় এর সাক্ষ্য দেওয়া। এবং আরো সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই এবং হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুল। একজন কাফের,মুশরিক মুসলিম হবার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল এই কালেমা অন্তর থেকে পাঠ করা এবং বিশ্বাস করা। তাই আসুন জেনে নেই চার কালেমা’র বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ।
কালেমা তাইয়্যেবাঃ
لاَ اِلَهَ اِلاَّ اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْ لُ الله
উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ
অর্থঃ আল্লাহ্ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নাই, এবং হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহ্র রাসুল।
কালেমা শাহাদাতঃ
اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه
উচ্চারনঃ আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকালাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক এবং তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
কালেমা তাওহীদঃ
لاَ اِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ وَاحِدَ لاَّثَانِىَ لَكَ مُحَمَّدُرَّ سُوْلُ اللهِ اِمَامُ الْمُتَّقِيْنَ رَسُوْ لُرَبِّ الْعَلَمِيْنَ
উচ্চারনঃ লা-ইলা-হা ইল্লা আন্তা ওয়াহিদাল্লা ছানিয়ালাকা, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামুল মুত্তাক্বীনা রাসূলু রব্বিল আ লামীন।
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ (রব) নেই, তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মুত্তাকীনদের ইমাম এবং আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল।
কালেমা তামজিদঃ
لاَ اِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ نُوْرَ يَّهْدِىَ اللهُ لِنُوْرِهِ مَنْ يَّشَاءُ مُحَمَّدُ رَّسَوْ لُ اللهِ اِمَامُ الْمُرْسَلِيْنَ خَا تَمُ النَّبِيِّنَ
উচ্চারনঃ লা-ইলা-হা ইল্লা আন্তা নূরাইইয়াহ দিয়াল্লা-হু লিনুরিহী মাইয়্যাশা য়ু, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা হি ইমা মুল মুরসালীনা খাতামুন নাবিয়্যীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই, তুমি জ্যোতিময় । তুমি যাকে চাও, স্বীয় জ্যোতি দ্বারা সঠিক পথ দেখিয়ে থাক, মুহাম্মদ (সাঃ) প্রেরিত রাসুলগনের ইমাম এবং শেষ নবী।
চার কালেমার সামগ্রিক ফজিলত
প্রতিটি কালেমা বান্দার ঈমানকে দৃঢ় করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ করে দেয়। এই কালেমাগুলো পাঠ করলে অন্তর পরিষ্কার হয় এবং গুনাহ মোচন হয়। আল্লাহর গুণাবলি, প্রশংসা ও একত্ববাদে বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত পাঠ করলে কিয়ামতের দিন সহজ হিসাব ও জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ রয়েছে। চার কালেমা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করলে তা আত্মিক উন্নতি ও সফলতার পথে সহায়ক হবে। এগুলো শুধুমাত্র মুখে পাঠের জন্য নয়, বরং অন্তরে বিশ্বাস রেখে জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
আত্তাহিয়াতু বা তাশাহুদ বাংলা অর্থসহ উচ্চারন
মাসআল্লাহ