পিতামাতার কবর জিয়ারতের দোয়া

পিতা মাতার কবর জিয়ারতের দোয়া

পবিত্র আল-কুরানে আমাদের মহান রব বলেছেন যে, “প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাধ গ্রহন করতে হবে”(সুরা-আল ইমরানঃ ১৮৫)। তাই আমরা প্রত্যেক মানুষী একদিন এই দুনিয়া থেকে মৃত্যুবরণ করব। এটাই চরম নিষ্ঠুর সত্য, যা আমারা সকলেই ভুলে যাই। তাই যারা আমাদের এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে ওপারে চলে গেছেন, আমাদের উচিত তাদের জন্য দোয়া করা। আসুন আমরা জেনে নেই পিতা মাতার কবর জিয়ারতের দোয়া ও নিয়ম।

কবর জিয়ারত করার নিয়ম

আমরা যখন কবরের পাশে যাব, প্রথমেই আমরা “আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিনা ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন।” অর্থ: মুমিন এ ঘরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইন-শা-আল্লাহ আমরাও আপনাদের সঙ্গে মিলিত হবো। (মুসলিম: ২৪৯) এই দোয়াটি পড়বো।

তারপর দরুদ পাঠ করব। এরপর সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাস, আয়তুল কুরসি, এবং দোয়া কুন্নুত পড়বেন। এছাড়াও চাইলে আরো কিছু দোয়া পড়তে পারেন। এরপর আপনার ম-বাবার জন্য পরম করুনাময় মহান রবের কাছে তাদের জন্য ক্ষমা চাইবেন। তাদের মাগফেরাত ও নাজাত এর জন্য মোনাজাত করবেন।

কবর জিয়ারতের দোয়া সমূহ

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) যখন কবরের পাশ দিয়ে যেতেন তখন এই দোয়া গুলো পড়তেন

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ القُبُورِ، يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ، أَنْتُمْ سَلَفُنَا، وَنَحْنُ بِالأَثَرِ

উচ্চারণ: আসসালাামু ‘আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুরী, ইয়াগ-ফিরুল্লাাহু লানাা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আসার।

অর্থ: হে কবরবাসী! আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ তাআলা আমাদের, আপনাদের ক্ষমা করে দিন। আপনারা আমাদের পূর্বে গমনকারী। আমরাও আপনাদের পিছনে পিছনে আসছি।

السَّلامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤمِنينَ وإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاحِقُونَ

উচ্চারনঃআসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিনা ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন।

অর্থ: মুমিন এ ঘরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইন-শা-আল্লাহ আমরাও আপনাদের সঙ্গে মিলিত হবো।

কবর জিয়ারতের সময়

কবর জিয়ারতের নির্দিষ্ট কোন সময় নাই। আপনি যখন ইচ্ছা জিয়ারত করতে পারেন। কবর বাসির জন্য দোয়া চাইতে পারেন। তবে যদি আমরা জুমার দিন কবর জিয়ারত করি। তাহলে জিয়ারতকারীর জন্যও তা ক্ষমালাভের কারণ হয়।

হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি জুমাবার তার পিতা-মাতা বা তাদের একজনের কবর জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে।” এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে, শুক্রবার কবর জিয়ারত অনেক উত্তম।

Share:

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *